1. jkitbd@gmail.com : admin :
  2. trustit24@gmail.com : News desk : News desk
প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মিশরী তরুণী ডালিয়া - bichitra somoy
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মিশরী তরুণী ডালিয়া

  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৫৪ পাঠক

নোয়াখালী প্রতিনিধি>
প্রেমের টানে বাংলাদেশী যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে সুদূর মিশর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মিশরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালীতে এসে সংসার শুরু করেছেন স্বামী বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পত্তি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালের মিশরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম দম্পতি প্রথম বাংলাদেশে আসেন।

গোলাম সারোয়ার বাবু জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধ্যানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি গামেন্টেসে চাকরি করেন। মিশরী তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাধে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল আমার। এক সময় বাবু ডালিয়াকে তার ভালো লাগার বিষয়টি জানায়। এতে ডালিয়ার সাই দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে মিশরে তাকে আমি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করি। গত বছর আমাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এ প্রথম দুজনের এক সাথে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। বিদেশী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।

মিশরী তরুণী ডালিয়া, বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিশরী ভাষা বাংলা অনুবাদ হিসেবে তার স্বামীর বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশী খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালবেসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পচন্দ বলেও মন্তব্য করেন এ বিদেশী তরুণী। তবে কারো সাথে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুর বাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূ কে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।

নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশী পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদেরর বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved ©
IT Support BY Trust Soft BD