আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা একবারেই নেই। অতীতে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেখা গেছে ভোটাররা উপস্থিত হয় না কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আর অবৈধভাবে যারা জোড় করে ক্ষমতায় আছে সেই সরকার চায় না এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা থাকুক এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে আসুক। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে যাবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। ভবিষ্যতে স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে জানানো হবে।
আজ সোমবার দুপুরে তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনণগনকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনের কথায় মনে হয় তিনি সরকারের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি। সরকার যা চায় সেভাবেই তিনি কথা বলেন।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে ড. জাফরুল্লাহর মন্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ড. জাফরুল্লাহর অনেক গুণী ব্যক্তি। কিন্তু তার অনেক বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন। বিএনপি এদেশের সর্ববৃহত রাজনৈতিক দল। অনেক চড়াই উৎড়াইয়ের মধ্যেও বিএনপি তিন বার ক্ষমতায় এসেছিল। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ও জনগণের অধিকারের জন্য এখনও বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ড. জাফরুল্লাহ বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে যে কথা বলেছেন তা বলা তার উচিত হয় নাই। তিনি বুঝছেন না যে তার উল্টোপাল্টা কথায় দলের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই তার প্রতি অনুরোধ, তিনি যেন মূল্যহীন অপ্রয়োজনীয় কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত না করেন। তারেক রহমান বিএনপির নেতা, তিনিই বিএনপিকে সুসংগঠিত করছেন এবং পুরো দল তার নেতৃত্বে কাজ করছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শহীদ জিয়ার সমাধিতে মৃতদেহ নিয়ে আওয়ামী লীগ জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। করোনা, ডেঙ্গু , অর্থনীতি ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে যখন এই অবৈধ সরকার ব্যর্থ তখন জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর জন্যই শহীদ জিয়ার কবর নিয়ে বিভ্রান্তী ছড়ানো মূল উদ্দেশ্য। কবর মাজার নিয়ে না ভেবে জনগণের যে সমস্যা গণতন্ত্র ও বেকারত্ব দূর করা সেদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের মনোযোগ দেওয়া উচিত।